মোঃ আবুল কালাম আজাদ (চান্দিনা,কুমিল্লা) :
চান্দিনা উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড কালেমসার গ্রাম আজ ভয়াবহ জলাবদ্ধতা ও জনদুর্ভোগে জর্জরিত। প্রায় দেড় কিলোমিটার আয়তনের এ গ্রামটির মাঝখানে অবস্থিত একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, যা পাঁচটি গ্রামের ভোটকেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। উত্তর দিকের অন্যান্য গ্রামসহ এ গ্রামের প্রধান যাতায়াতপথটির (দাগ নং ৫৪৪) পাশে ছিল একটি খাল। বর্তমানে খালটি ভরাট ও দখলের কারণে তার স্বাভাবিক অস্তিত্ব হারিয়েছে।
কচুরিপানা, কচুগাছ, ময়লা-আবর্জনা ও অবৈধ ভরাটের ফলে পানির প্রবাহ সম্পূর্ণরূপে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অল্প বৃষ্টিতেই আশপাশের বসতবাড়ি ও শতবর্ষ পুরনো কবরস্থান পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। কৃষিজমি নষ্ট হয়ে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। গ্রামীণ অবকাঠামো ও জনজীবনে এর প্রভাব পড়ছে ভয়াবহভাবে। পাশের পাকা সড়কের সাথেই অবস্থিত প্রধান খালটির বর্তমান অবস্থা পরিস্থিতিকে আরও শোচনীয় করে তুলেছে।
আজ প্রশ্ন জাগে—খালগুলো একের পর এক দখল-ভরাট হয়ে ভাগাড়ে পরিণত হলেও কি পরিবেশ অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিএডিসি কিংবা এলজিইডি বিষয়টি দেখছে না? জনগণের বারবার আবেদন সত্ত্বেও খাল খনন ও পুনরুদ্ধারে কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। বাজেট থাকলেও নামমাত্র কাজ হচ্ছে, যা কেবল কাগজেই সীমাবদ্ধ।
প্রশাসনের নীরবতা ও উদাসীনতায় জনমনে গভীর ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। এখনই যদি জরুরি ভিত্তিতে খালগুলো পুনঃখনন, অবৈধ দখলমুক্তকরণ এবং পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন না করা হয়, তবে এ জনপদ চিরস্থায়ী জলাবদ্ধতা ও পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তাই রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের প্রতি আমাদের জোর আবেদন—
দ্রুত খাল পুনঃখননের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ,
অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ,এবং দীর্ঘমেয়াদি পানি নিষ্কাশন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন।
এটি শুধু একটি গ্রামের সমস্যা নয়—এটি জনজীবন, কৃষি ও পরিবেশ রক্ষার জন্য অত্যন্ত জরুরি একটি জাতীয় দায়িত্ব।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ আবুল কালাম আজাদ, বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: ০১৮২৯০৭৩০৬৬, ০১৭১৮১৬৫৯০৩
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত