নিজস্ব প্রতিবেদক,চান্দিনা,কুমিল্লাঃ
কুমিল্লা চান্দিনার উত্তর জোয়াগ মাস্টার বাড়িতে নিজ গৃহবধূ তামান্না আক্তারকে মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বামী রকিবুলের বিরুদ্ধে।
২৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ঃ০০ টায় কুমিল্লা চান্দিনার উত্তর জোয়াগ মাস্টার বাড়িতে উক্ত ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত স্বামী রাকিবুল ইসলাম মৃত: আনোয়ার হোসেনের ছেলে। নিহত তামান্না( ২১) পার্শ্ববর্তী চাঁদসার গ্রামের আবুল খায়ের এর মেয়ে।
স্থানীয়রা জানায় অভিযুক্ত রাকিবুল ইসলাম ও তার মা একসাথে ঘরে ছিল। হঠাৎ চিৎকার শুনে এলাকাবাসীর উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত রাকিবুল ইসলাম ও তার মা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
গৃহবধূকে মারার পর রাকিবুল ইসলাম, তার শশুর কে মোবাইল ফোন দিয়ে বলে আপনার মেয়ে মারা গেছে, খবর শুনে এসে বাড়িতে স্থানীয় লোকজন ছাড়া আর কাউকে দেখতে পায়নি তারা।
উক্ত ঘটনার পর ৬ নং ওয়ার্ড স্থানীয় মেম্বার মোঃ আনার এর সাথে স্থানীয় লোকজনের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে,এতে নয়ন আহমেদ নামে একজন আহত হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাকিবুল ইসলাম এবং তামান্না আক্তারের বিয়ে হয় ৬ মাস আগে, সংসার ঠিক মতোই চলছিল, গত দুই মাস আগ থেকে যৌতুকের টাকার জন্য তামান্না আক্তারকে নির্মম নির্যাতন করে তার স্বামী ও শাশুড়ি। তামান্না আক্তার কে যৌতুকের ২ লক্ষ টাকা এবং স্বর্ণালংকার দেওয়ার জন্য বারবার চাপ দিতে থাকে অভিযুক্ত রাকিবুল ইসলাম। তামান্না আক্তার এর বাবা-মা জোয়াগ ইউপি মেম্বার ও স্থানীয় মাতব্বরের কাছে অভিযোগ করে একাধিক শালিস করেও কোন সূরাহা হয়নি বলেন জানান। ঘটনাটির তদন্তে আসা চান্দিনা থানার এসআই রায়হান হোসেন বলেন, তামান্না আক্তারের লাশ ময়না তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিব।
তামান্না আক্তারের মা জানান, আমার মেয়েকে রাকিবুল ইসলাম এবং রাকিবের মা মিলে হত্যা করেছে আমি তাদের সঠিক বিচার চাই। যৌতুকের জন্য যেন আমার মেয়ের মত আর অন্য কোন মেয়ের ক্ষতি বা প্রাণ হানি না হয় সেজন্য তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এদিকে, এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের শাস্তি দাবী জানান।