মোঃ আবুল কালাম আজাদ (চান্দিনা):
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল ১১টায় চান্দিনা উপজেলার ডাকঘরের সামনে থেকে শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগ ও জুলাই রাষ্ট্রীয় শহীদ দিবস বাস্তবায়নসহ (৯) দফা দাবিতে
পৌর সমন্বয়কের আহবায়ক রাব্বি,ছাত্র দল নেতা হিমেলসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা কোনো সহিংসতা চাই না। কিন্তু অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। এত বড় দুর্ঘটনা ঘটলো—কেউ দায় নিচ্ছে না। কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা এ অবিচারের বিচার চাই।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবির মধ্যে রয়েছেঃ
১।সাম্প্রতিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেক ব্যাক্তির সঠিক লাশ সনাক্ত ও হিসাব প্রকাশ করতে হবে।
২। দায় শিকার করে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।
৩।বিমান বাহিনীকে অবিলম্বে কাঠামো গত ও কার্যকর সংস্কারের আওতায় আনতে হবে।
৪। আনফিট ( অযোগ্য /পুরাতন) এয়ারক্র্যাফ্ট দিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
৫। দুর্ঘটনায় আহতদের সুচিকিৎসা ও পূর্নবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৬। তদন্ত প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে এবং দোষিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৭। বিমান প্রশিক্ষনে আন্তর্জাতিকমান ও নিরাপত্তা প্রোটোকল বাধ্যতামূলক অনুসরণ করতে হবে।
৮। নিহতদের পরিবারকে ক্ষতি পুরন ও সরকারি সহায়তা দিতে হবে।
৯। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কাঠামোর উপর নিরপক্ষ তদারকি জারি রাখতে হবে। এর আগে সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টার পর রাজধানীর উত্তরায় দুর্ঘটনায় পড়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান। বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে গিয়ে পড়ে এবং বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিমান ও স্কুল ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। যে ভবনে এটি বিধ্বস্ত হয় সেখানে বহু স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থী ছিল। যাদের বেশিরভাগই হতাহত হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরপর উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের উত্তরাসহ আশপাশের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হতাহতদের উদ্ধার করা শুরু করে। পরে উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয় বিজিবি ও সেনাবাহিনী। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে হতাহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ বিমান দুর্ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (মঙ্গলবার বিকাল ৩টা) নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭ জনে এবং বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭৮ জন।